সময়ের পরিক্রমায় প্রতি চার বছর পর ঘুরে ঘুরে আসে বিশ্বকাপ ফুটবল। এমনি ভাবে ২০১৮ এর বিশ্বকাপ সারা বিশ্বকে মাতিয়ে দিয়ে শষ হয়ে গেল। এবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল রাশিয়া। এক মাস ব্যাপি এই মহাযজ্ঞে অংশগ্রহন করেছে ৩২টি দল। প্রথম পর্যায়ে মোট আট টি গ্রূপে ভাগ হয়ে এ দলগুলি পরস্পরের বিরুদ্ধে খেলে। সেখান থেকে ১৬টি দল নক আউট পর্যায়ে উন্নীত হয়। নক আউট পর্যায় থেকে আরো ৮টি দল কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয়। সেখান থেকে ৪ দলের সেমিফাইনাল শেষে ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলে ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়া। প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ফাইনালে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়।
এ বিশ্বকাপে সারা বিশ্ববাসীর মুল আকর্ষন ছিল লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো, নেইমার এর মত বিশ্বখ্যাত তারকা ফুটবলার গন। কিন্তু ব্রাজিল আর্জেন্টিনা, জার্মানি, স্পেনের মত নামকরা দলগুলি খুব তাড়াতাড়ি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ায় এ সব তারকাদের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হয় কোটি মানুষ। তবে নতুন কয়েকজন ভবিষ্যতের ফুটবল তারকাকে পেয়েছে এ বিশ্বকাপ। এমবাপ্পে, পগবা, গ্রিজমেন, হ্যাজার্ড, হ্যরিকেন,মদরিচের মত নতুন মুখ বিশ্বকাপে দারুণ ফুটবল খেলেছে। বাংলাদেশ না থাকলেও আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থক হয়ে বিশ্বকাপ উন্মাদনায় মেতে ছিল।
এতো গেল বিশকাপের ছোট একটি সারসংক্ষেপ। নিজ অভিজ্ঞতার কথা বললে, আমি বলতে হয় যে ,এই বিশ্বকাপ আমায় ফুটবলকে ভালবাসতে শিখিয়েছে।দৃঢ় করেছে নতুন ভাবে ফুটবলকে আবিষ্কার করার ইচ্ছা।এ এস পরীক্ষার প্রায় দেড় মাসের ধকলের পর এই বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিল মানসিক প্রশান্তি। আর ৫ জন ফুটবল 'crazy' ফ্যানের মত ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার ঘোরতর সমর্থক ছিলাম না কিন্তু তাদের দ্রুত বিদায়ে হতাশ হয়েছিলাম। এর পর ফুটবলের নবশক্তি ক্রোয়েশিয়ার চমকপ্রদ খেলা আমায় মুগ্ধ করেছে।
পুরো আসর জুড়ে বাংলাদেশীদের ব্রাজিল -আর্জেন্টিনাকে ঘিরে উন্মাদনায় বার বার আমি ভেবেছি,' ইশ! বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপ খেলত তাহলে বাংলাদেশে কি আনন্দের বন্যাই না ভেসে যেত।' তবুও আশায় বুক বাঁধি যে একদিন বাংলাদেশও 'গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে' তাদের নাম লেখাবে।
সেঁজুতি কর্মকার
Editor
Creative Writing-Bangla
Comments